“শিক্ষা একটি আমানত। শিক্ষার্থীরা জ্ঞান ও নৈতিকতায় সমৃদ্ধ হয়ে সমাজ ও দেশের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করবে—এই আমার প্রত্যাশা।”.....
বিস্তারিত
মানুষের জীবনে স্বপ্নের কোনো শেষ নেই, তবে সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিলে তা হয়ে ওঠে আশীর্বাদ।
এমনই এক স্বপ্ন ছিল—একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার, যেখানে ছোট ছোট কন্যাশিশুরা
কুরআনের নূর ও ইসলামী আদর্শে আলোকিত হবে। সেই স্বপ্ন থেকে ২০২২ সালে লক্ষ্মীপুর খাতুনে জান্নাত মহিলা মাদরাসার ভিত্তি স্থাপিত হয়।
প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মাওলানা ইদ্রিস আলী যুক্তিবাদীর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সভাপতি হাজী আব্দুর রহমান মুন্সির আত্মনিবেদিত সহযোগিতায়
মাদরাসাটি ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে শুরু করে। শুরুতে অর্থ, জমি ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা থাকলেও
আল্লাহর রহমত এবং মানুষের ভালোবাসায় পথ সহজ হতে থাকে।
অবশেষে ২০২৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫ জন,
যারা কুরআনের প্রথম পাঠ হাতে নিয়ে বসেছিল আল্লাহর বাণী শেখার উদ্দেশ্যে।
অল্প সময়েই মাদরাসাটি মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করে। বর্তমানে, আলহামদুলিল্লাহ, শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ জনে,
যেখানে ৪ জন দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা নিবেদিতভাবে পাঠদান করে যাচ্ছেন।
শুরুটা ছিল সামান্য, কিন্তু লক্ষ্য ছিল অনেক বড়। ২০২৫ সাল নাগাদ মাদরাসার ৩ তলা ফাউন্ডেশনের ভিত্তি নির্মিত হয়েছে
এবং প্রথম তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটি মাদরাসার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
শিক্ষার্থীরা এখন একটি উন্নত পরিবেশে পাঠ গ্রহণ করছে, যা ভবিষ্যতে আরও সমৃদ্ধ ও আধুনিক রূপ নেবে, ইনশাআল্লাহ।
আমাদের স্বপ্ন হলো এই মাদরাসাকে ধাপে ধাপে পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠানে রূপ দেওয়া, যেখানে শিশু শ্রেণি থেকে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত
দ্বীনি শিক্ষা চালু হবে। এর মাধ্যমে অসংখ্য কন্যাশিশু দ্বীনি জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাবে। পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় ঘটিয়ে
তাদেরকে একজন আদর্শ মানুষ, সমাজসেবক ও দ্বীনের খেদমতগার হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
আমরা বিশ্বাস করি—এই মাদরাসা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি আলোকবর্তিকা হয়ে সমাজকে ইসলামী জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করবে।
“প্রিয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো মানসম্মত শিক্ষা প্রদান এবং নৈতিকতাবান মানুষ গড়ে তোলা। সবাই মিলে এগিয়ে গেলে ইনশাআল্লাহ একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।”.....
বিস্তারিত“শিক্ষা একটি আমানত। শিক্ষার্থীরা জ্ঞান ও নৈতিকতায় সমৃদ্ধ হয়ে সমাজ ও দেশের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করবে—এই আমার প্রত্যাশা।”.....
বিস্তারিত